হাওজা নিউজ এজেন্সি: রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গভর্নরেট জানায়, ফাঁস হওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদের নিচে গোপন খনন কাজ চালাচ্ছে। এসব খননে উমাইয়া আমলের বহু প্রত্নবস্তু ধ্বংস হচ্ছে, যা মুসলমানদের এই পবিত্র স্থানের উপর ন্যায্য মালিকানার “অখণ্ড প্রমাণ।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো “আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে ফেলা এবং কথিত ‘টেম্পল মাউন্ট’ তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা।” গভর্নরেটের মতে, স্বচ্ছতা বা আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই এসব খনন চালানো হচ্ছে, যা মসজিদের কাঠামোগত স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেন, এটি ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে “পূর্ব জেরুসালেমকে ইহুদিকরণের নতুন বাস্তবতায় রূপান্তর করা” হচ্ছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও ইউনেস্কোকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এই লঙ্ঘন বন্ধ হয় এবং দখলদারদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, আল-আকসা মসজিদের সব কার্যক্রমের বৈধ কর্তৃত্ব জর্ডান-পরিচালিত জেরুসালেম এনডাউমেন্ট কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত। তবে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে অঞ্চলটি নিজেদের সঙ্গে একতরফাভাবে যুক্ত করে নেয়—যা আন্তর্জাতিকভাবে কখনো স্বীকৃত হয়নি।
আপনার কমেন্ট